অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার তিন সপ্তাহ পর, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস রাজনৈতিক দল ও জোটগুলোর সঙ্গে মতবিনিময় করতে যাচ্ছেন। শনিবার (৩১ আগস্ট) বিকেল তিনটায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এই বৈঠক শুরু হবে এবং চলবে রাত ৮টা পর্যন্ত। প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরের প্রেস উইংয়ের একজন কর্মকর্তা এই তথ্য জানিয়েছেন। বিকেল তিনটায় প্রথম বৈঠকটি হবে খেলাফত মজলিশের দুই অংশের সঙ্গে। খেলাফত মজলিশের পক্ষ থেকে নেতৃত্ব দেবেন দলটির আমীর মাওলানা আবদুল বাছিত আজাদ। প্রতিনিধি দলে থাকবেন অধ্যাপক আহমেদ আবদুল কাদের, মাওলানা সাখাওয়াত হোসেন, জাহাঙ্গীর হোসেন এবং মুনতাসীর আলী।
বাংলাদেশ খেলাফতের পক্ষ থেকে নেতৃত্ব দেবেন মাওলানা ইউসুফ আশরাফ। প্রতিনিধি দলে থাকবেন মাওলানা মামুনুল হক এবং মাওলানা জালাল উদ্দিন।
গণফোরামের পক্ষ থেকে নেতৃত্ব দেবেন ড. কামাল হোসেন। তার সঙ্গে থাকবেন মোস্তফা মহসীন মন্টু, সুব্রত চৌধুরী, এসএম আলতাফ হোসেন, মিজানুর রহমান, জগলুল হায়দার আফ্রিক, মহিব উদ্দিন আবদুল কাদের এবং মোশতাক আহমেদ।
অলি আহমেদের নেতৃত্বে এলডিপির প্রতিনিধি দলে থাকবেন রেদোয়ান আহমেদ, নেয়ামূল বশির, নুরুল আলম তালুকদার এবং আওরঙ্গজেব বেলাল।
জি এম কাদেরের নেতৃত্বে জাতীয় পার্টির প্রতিনিধি দল থাকবে। প্রতিনিধি দলে থাকতে পারেন আনিসুল ইসলাম মাহমুদ চৌধুরী, মজিবুর রহমান চুন্নু, মাশরুর মওলা এবং সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন। জাতীয়বাদী সমমনা জোটের নেতৃত্বে থাকবেন এনপিপির চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদ। এই জোটের শরিকদের মধ্যে থাকবেন জাগপার খন্দকার লুৎফর রহমান, গণদলের এটিএম গোলাম মওলা চৌধুরী, এনডিপির আবু তাহের, বাংলাদেশ ন্যাপের শাওন সাদেকি এবং সাম্যবাদী দলের সৈয়দ নুরুল ইসলাম।
১২ দলীয় জোটের নেতৃত্ব দেবেন জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার। এই জোটের অন্যান্য প্রতিনিধির মধ্যে থাকতে পারেন জাতীয় দলের সৈয়দ এহসানুল হুদা, বিএলডিপির শাহাদাত হোসেন সেলিম, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মহিউদ্দিন ইকরাম, লেবার পার্টির একাংশের ফারুক রহমান, জাগপার একাংশের তাসমিয়া প্রধান, কল্যাণ পার্টির শামসুদ্দিন পারভেজ এবং বিকল্পধারা বাংলাদেশের শাহ আহমেদ বাদল।
বাংলাদেশ জাসদের নেতৃত্ব দেবেন শরীফ নুরুল আম্বিয়া। তার সঙ্গে থাকবেন নাজমুল হক প্রধান, মুশতাক হোসেন, আবদুল কাদের হাওলাদার এবং কাজী সদরুল হক।
এর আগে, গত ১২ আগস্ট প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিভিন্ন দলের আলাদা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে বিএনপি, ডা. শফিকুর রহমানের নেতৃত্বে জামায়াতে ইসলামী, শাহ আলমের নেতৃত্বে সিপিবি, মাহমুদুর রহমান মান্নার নেতৃত্বে গণতন্ত্র মঞ্চ, আন্দালিব রহমান পার্থের নেতৃত্বে বিজেপি, মাওলানা সৈয়দ ফয়জুল করীমের নেতৃত্বে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, এএফএম সোলায়মান চৌধুরীর নেতৃত্বে এবি পার্টি, নুরুল হক নূরের নেতৃত্বে গণঅধিকার পরিষদ, হারুন চৌধুরীর নেতৃত্বে গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য এবং ববি হাজ্জাজের নেতৃত্বে এনডিএম।
উল্লেখ্য, ২৯ আগস্ট উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক শেষে বন, পরিবেশ ও জলবায়ু উপদেষ্টা সৈয়দ রিজওয়ানা হাসান জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দায়িত্ব নেওয়া অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ-আলোচনার প্রক্রিয়া চালু রাখবে এবং সংস্কার প্রস্তাবগুলো গ্রহণ করবে। এই বিষয়ে পদ্ধতির ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে।