ফেনীর বন্যাকবলিত এলাকায় পানি কমতে শুরু করেছে, সেই সঙ্গে দেখা দিচ্ছে নানা রোগবালাই। ডায়রিয়া, চর্মরোগ, জ্বর, সর্দি-কাশি সহ বিভিন্ন অসুস্থতায় ভুগছেন বন্যাদুর্গত এলাকার মানুষ। অনেকের হাত-পায়ে ঘা ও চর্মরোগ দেখা দিচ্ছে।

ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর ও কুমিল্লায় নয় দিন ধরে চলা বন্যার কারণে বয়স্ক ও শিশুরা বেশি জ্বর, সর্দি-কাশি ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে। দুর্গতরা জানিয়েছেন, অনেক এলাকা এখনো পানির নিচে তলিয়ে আছে। অনেক কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ থাকায় তারা পর্যাপ্ত ওষুধ ও চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের চিকিৎসা সেবার জন্য ১১টি জেলায় ৬১৯টি মেডিকেল টিম চালু আছে। এদিকে বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে গেছে। ২৮ অগাস্ট, বুধবার দুপুর পর্যন্ত ৩১ জনের মৃত্যুর তথ্য মন্ত্রণালয়ের হালনাগাদ তথ্যে পাওয়া গেছে। বন্যায় ১২ লাখ ২৭ হাজারেরও বেশি পরিবার এখনো পানিবন্দী।

ফেনীর পরশুরাম ও ফুলগাজীতে বন্যার অবস্থা কিছুটা উন্নতি হলেও, ছাগলনাইয়া, ফেনী সদর, সোনাগাজী ও দাগনভূঞা উপজেলায় পানি ধীরে নামছে। ফেনীর বিভিন্ন দুর্গম গ্রামে স্থায়ী-অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে থাকায় দুর্গত মানুষজনের কাছে চিকিৎসাসেবা পৌঁছাচ্ছে না। বেশির ভাগ কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ। গত দুদিনে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলো চালু হয়েছে, তবে বেশির ভাগ স্থায়ী-অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে স্বাস্থ্যকর্মীরা পৌঁছাতে পারছেন না। এতে শিশুরা বেশি ভুগছে।

ফেনী জেলার সিভিল সার্জন জানিয়েছেন, শিশুরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে এবং ইতিমধ্যে ছয়টি জরুরি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে।

নোয়াখালীতে আশ্রয়কেন্দ্রে শিশুদের অসুস্থতা বাড়ছে। লক্ষ্মীপুরের বন্যাকবলিত এলাকাগুলোতে ওষুধের সংকট দেখা দিয়েছে। সিভিল সার্জন জানিয়েছেন, স্বাস্থ্যকর্মীরা নৌকায় করে দুর্গম এলাকায় চিকিৎসা সেবা পৌঁছানোর চেষ্টা করছেন। কুমিল্লায়ও একই রকম চিত্র, যেখানে ৭২৪টি আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় ৮০ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছে।