ছবি: সংগৃহীত

খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটিতে উদ্ভূত সমস্যার সমাধানে সরকার কাজ করে যাচ্ছে এবং এ কারণে সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, আগামীকাল সরকারের উচ্চপর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দল খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটি পরিদর্শন করবে।

বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ১৮ সেপ্টেম্বর এক ব্যক্তির গণপিটুনির পর মৃত্যু ঘিরে ঘটে যাওয়া সহিংসতা ও প্রাণহানির ঘটনায় সরকার গভীর দুঃখ প্রকাশ করেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সর্বোচ্চ সংযম দেখানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং তিন পার্বত্য জেলায় বসবাসকারী সব জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখতে সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ।

সরকার আরও বলেছে, কেউ যেন আইন নিজের হাতে না তোলে এবং ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত না হয়। আইন নিজের হাতে তোলা ও সম্পত্তি ধ্বংস করা গুরুতর অপরাধ, এবং এমন ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দায়ীদের বিচার করা হবে। আহতদের যথাযথ চিকিৎসার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আগামীকাল স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার নেতৃত্বে সরকারের একটি প্রতিনিধি দল খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটি পরিদর্শন করবে। প্রতিনিধি দলে থাকবেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা, স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা এবং প্রতিরক্ষা ও জাতীয় সংহতি উন্নয়ন বিষয়ক প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী।

এদিকে, খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় পাহাড়ি-বাঙালি সংঘর্ষের জেরে বৃহস্পতিবার রাতে গোলাগুলিতে তিনজন নিহত এবং ১৫ জন আহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন জুনান চাকমা, ধনঞ্জয় চাকমা ও রুবেল চাকমা। এ ঘটনার পর পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এবং ইন্টারনেট সেবা সীমিত করা হয়।

দীঘিনালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মামুনুর রশীদ জানিয়েছেন, সংঘর্ষে ১০২টি দোকান পুড়ে গেছে ও ভাঙচুর হয়েছে।