কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কক্সবাজার কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, সাম্প্রতিক বন্যায় ১ হাজার ৩৯৭ হেক্টর জমির ধান সম্পূর্ণ নষ্ট হয়েছে, যার ক্ষতির পরিমাণ ২০ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। এছাড়া, ১৬৮ হেক্টর আমনের বীজতলার ক্ষতি হয়েছে ১ কোটি ৩৪ লাখ টাকা এবং ৯৭ হেক্টর জমির আউশ ধানের ক্ষতি হয়েছে ১২ কোটি ৬৫ লাখ টাকার।
সবজিখেতে ৩৪৭ হেক্টর জমির ক্ষতির পরিমাণ ধরা হয়েছে ২৭ কোটি ৭৭ লাখ টাকা এবং পানের ক্ষেতের ক্ষতি হয়েছে ৩১.৫ হেক্টর জমিতে, যার আর্থিক ক্ষতি ৪ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। সব মিলিয়ে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত জমির পরিমাণ ২ হাজার ৪০ হেক্টর, এতে মোট ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬৭ কোটি ২৩ লাখ টাকা। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের সংখ্যা ১৮ হাজার ৭৯৬ জন।
কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, কক্সবাজার সদর উপজেলাই বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এখানে ৫১১ হেক্টর জমির ফসলের ক্ষতি হয়েছে ১৩ কোটি ৫০ লাখ টাকার। পেকুয়াতে ৫৬২ হেক্টর জমির ফসলের ক্ষতি ৯ কোটি ৩১ লাখ টাকা, আর চকরিয়াতে ৪১৬ হেক্টর জমির ক্ষতি ৬ কোটি ৬৯ লাখ টাকার।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক বিমল কুমার প্রামাণিক জানান, ক্ষতিগ্রস্ত ৮ হাজার কৃষককে আমন আবাদের জন্য প্রণোদনা হিসেবে ৫ কেজি বীজ, ১০ কেজি ডিএপি সার, ১০ কেজি এমওপি সার এবং নগদ ১ হাজার টাকা করে দেওয়া হচ্ছে।
কৃষি কর্মকর্তারা আরও জানান, গত ১০-১২ দিনে বিভিন্ন ইউনিয়নে মাঠ জরিপ করে ১৮ হাজার ৭৯৬ জন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। এতে ধানসহ বিভিন্ন ফসলের প্রাথমিক ক্ষতি নির্ধারণ করা হয়েছে ৫৫ কোটি ৮৫ লাখ ৬৩ হাজার টাকা।