সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ জানিয়েছেন, তিনি রাজনীতিতে ফিরে আসার কোনো ইচ্ছা নেই। গুম প্রসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন, তাঁর এক ভাগনেকে অপহরণ করে ১১ দিন আয়নাঘরে রাখা হয়েছিল।
গতকাল বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে নিজের নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সোহেল তাজ এই কথা বলেন।
এর আগে বুধবার, তিনি ফেসবুকে একটি পোস্টে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এবং সেনাবাহিনীর প্রধানের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। সেখানে তিনি উল্লেখ করেন, বুধবার রাতে তাঁকে অনুসরণ করা হয়েছিল, এবং তাঁর ধারণা সেই ব্যক্তি গোয়েন্দা সংস্থার সদস্য ছিল। সচিবালয়ে সোহেল তাজ সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি যখন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ছিলাম, তখন আমি আমার দায়িত্ব সততা, নীতি, এবং আদর্শের সঙ্গে পালন করার চেষ্টা করেছি। আমি অন্যায়, অনিয়ম, দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলাম এবং পদক্ষেপ নেওয়ার চেষ্টা করেছি। আমার পদত্যাগের পরও বিভিন্ন সময়ে আমার ওপর নানা ধরনের চাপ প্রয়োগ করা হয়েছিল।’
গুম প্রসঙ্গে সোহেল তাজ আরও বলেন, ‘২০১৩ সালে আমার এক ভাগনে রাকিবকে পুলিশ নির্যাতন করেছিল। এ নিয়ে একটি মামলাও হয়েছিল। পরে ২০১৮-১৯ সালে আমার আরেক ভাগনেকে অপহরণ করে, আজকের যে আয়নাঘর রয়েছে, সেখানে ১১ দিন আটকে রাখা হয়েছিল তাঁকে। আমি তখনও গুম, খুন, হত্যার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছি এবং অনেক কষ্ট করে আমার ভাগনেকে উদ্ধার করেছি।’
রাজনীতিতে ফেরা নিয়ে প্রশ্নের জবাবে সোহেল তাজ বলেন, ‘আমি বারবার বলেছি, আমার রাজনীতিতে ফিরে আসার কোনো আগ্রহ নেই। এই পচা, নোংরা, নষ্ট রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে আমি আসতে চাই না।’
সোহেল তাজ কোনো রাজনৈতিক দলের ওপর প্রতিহিংসা বা নিপীড়নকে সমর্থন করেন না । তিনি বলেন, ‘অনেক নিরীহ নেতা-কর্মী আছেন, যাঁদের ওপর অত্যাচার-নির্যাতন হচ্ছে, আমি এর নিন্দা জানাই। পাশাপাশি আমি আওয়ামী লীগসহ সকল রাজনৈতিক দলকে বলব, আত্মসমালোচনা এবং আত্মোপলব্ধি করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, ভবিষ্যতে এগিয়ে যাওয়ার জন্য।’